Ads 468x60px

Thursday, 24 July 2014

একটি চোরে শাস্তি (শিশুতোষ গল্প)



শত বছর আগেকার কথা। এক রাজার ছিলো হাতে চালানো অসাধারণ একটা পাথরের মেইল।
এটা দেখতে যদিও অন্যান্য হাত মেইলের মতো, কিন্তু এটার ছিল একটি বিশেষ শক্তি। এই মিলটিকে
যা করতে বলা হতো, তাই এটা করে দিতো। যদি অনুরোধ করা হতো, একটি স্বর্ণ দাও। তখন তা স্বর্ণ
তৈরি করে দিতো। যদি ভাত চাওয়া হতো, তবে ভাতই বের করে দিতো। যদি টাকা চাওয়া হতো,
তবে টাকাই বের করে দিতো এটি। মোট কথা, যা-ই করতে অনুরোধ করা হতো, এই ছোট্ট হাতে চালানো
মিলটি তাই তৈরি করে দিতো।

একদিন এক চোর এই অসাধারণ মিলটির কথা শুনলো। সে তার মন স্থির করলো,এই আলাদিনের মিলটি
চুরি করবে। আর সেই থেকেই সে তার মন থেকে এইটা চুরি করার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছিলো না।
দিন যায় রাত হয়, সে ফন্দি তৈরি করতে থাকে, কীভাবে এটা ওখান থেকে ভাগিয়ে আনা যায়।

একদিন সেই চোর পণ্ডিত ব্যক্তির মতো ভদ্র পোশাক পড়ে এক আদালত কর্মকর্তার সাথে দেখা করল,
যিনি ওই রাজ প্রাসাদে যাতায়াত করেন। তারা উভয়ে ওই মিলটির ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করলো।

চোরটি বললোঃ- "আমি শুনেছি যে, ঐ হস্ত চালিত অদ্ভুত মিলটি নাকি রাজা মহায়শয় মাটির নিচে পুতে
রেখেছেন, কারণ তিনি তাঁর মন্ত্রীদের বিশ্বাস করেন না তাই।

" আদালত কর্মকর্তাঃ- " কী ব্যাপার! এ ধরণের কথা তুমি কোথায় শুনেছ যে, রাজা মহাশয় তাঁর
মন্ত্রীদের বিশ্বাস করেন না?"
চোর বললোঃ- "গ্রামে-গঞ্জের মানুষজন এসব কথা বলাবলি করতে শুনেছি।"

তিনি মানুষটির আগ্রহ দেখে জ্বলে উঠলেন।
চোর আবার বল্লোঃ "মানুষজন বলছে, রাজা মহাশয় মাটির নীচে একটি গর্ত খুড়ে এই হাত মিলটি
পুতে রেখেছেন। কারণ তিনি ভয় পাচ্ছেন, যে কেউ এই মিলটি চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।"
কর্মকর্তা বললেনঃ " এটা একটা আজগুবি কথা! রাজার হাত মিলটি কোর্টের ভিতরে পদ্মপুকুরের পাশে
রাখা আছে।"
চোর বললোঃ- " ও তাই!"(তার নিজের আগ্রহ মনের মাঝে চাপা দিয়ে রাখলো)
কর্মকর্তা বল্লেনঃ- " কারো এমন দুঃসাহস নেই, যে রাজার মিলটি চুরি করার চেষ্টা করতে পারে ।
এটা যেখানে পদ্ম পুকুর পাড়ে রাখা আছে, সেখানে বহুলোকের আনাগুনা সারাক্ষণ"
চোরটি এতোটাই উত্তেজিত ছিলো যে, তার সব কথাতেই হ্যাঁ হ্যাঁ বলতে ছিল, ওটা ঠিক,
ওটা ঠিক এই ভাবে।
অনেক দিন থেকে চোর ওখানকার পরিস্থিতি অবলোকন করতে থাকলো।
অবশেষে একদিন ঘোর অন্ধকার রাতে, রাজ পাসাদের দেয়াল বেয়ে পদ্মপুকুরের পাশ থেকে সেই মিলটি
চুরি করলো। সে আস্থার সাথে মনে মনে গর্ব করে বলতে লাগলো, এখান থেকে এটা নিয়ে নিরাপদে
বেড়িয়ে পড়বে। কিন্তু প্রাসাদের বাহিরে, ধরা পরার ভয়ে সে প্রচন্ড ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়লো।
তার অন্তরাত্মা ধোক ধোক করতে লাগলো, না জানি রাস্তায় কোন মানুষের সাথে মুখো মুখি হয়ে পড়ে।
সে একটি নৌকা চুরি করে তার নিজ বারিতে ফিরে যাবে মনে মনে এই সিদ্ধান্ত
স্থির করলো। অবশেষে সে নৌকা দিয়ে সাগর পার হতে লাগলো আর আনন্দে নাচতে লাগলো, এই ভেবে যে,
সে কত বড় সম্পদের মালিক হতে যাচ্ছে। তার পর সে চিন্তা করতে লাগলো, হাত মিলটাকে কী কী প্রয়োজনীয়
জিনিসের জন্য অনুরোধ করবে যা প্রয়োজন হয় সব মানুষের।

সে ভাবলো "লবন!" "লবন!"
"লবন সবার প্রয়োজন হয়। আমি এগুলো বিক্রি করে অল্প দিনেই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদশালী হয়ে যাব।"
সে হাটুর উপর ভর করে বসে পরলো, আর হাত মিলটাকে অনুরোধ করতে লাগলো, "কিছু লবন তৈরি করে দাও,
কিছু লবন তৈরি করে দাও।" তার পর সে নাচতে শুরু করলো বড়লোক হওয়ার গান গাইতে গাইতে। এবং হাত
মিলটা লবন তৈরি করতে থাকলোই, আর থামলো না। লবনে ছোট্ট নৌকাটি টুইটুম্বুর হয়ে ভরে গেলো। তার আর
খবর নেই, যে এটাকে বলবে, "থামো, আর প্রয়োজন নেই।" সে ভাবতে থাকলো, তার অনেক চাকরানী,
কর্মচারী থাকবে, যারা তার সব কাজ কর্ম করে দেবে।
অবশেষে নৌকাটি লবনে ভরে গিয়ে সাগরে তলদেশে গিয়ে ঠেকলো।
আর চোরটি এভাবে উত্তাল সাগরে ডোবে মরে গেলো ।
এদিকে হাত মিলটি লবন তৈরি করতেই থাকলো, কারণ কেউ তো আর বলেছে না যে, থামো আর লবন চাই না।
এটা এখনো লবন তৈরি করতেই রয়েছে। তাই সাগরের পানি এতো লবনাক্ত।

একটি চরম প্রেম পত্র

প্রিয় লাইলী, 
পত্রের প্রথমে এক বোতল সালফিউরিক এসিডের মত জ্বালাময়ী শুভেচ্ছা রইলো । প্রিয় আমি তোমাকে ডায়মন্ডের মত ভালবাসি। আমার ভালবাসা E=mc2 এর মত চিরন্তন সত্য । তোমার প্রতি আমার এই ভালবাসা স্প্রিং নিক্তির মাধ্যমেও পরিমাপ করা যম্ভব নয় ।

প্রথম যেদিন তোমাকে দেখি সেদিন থেকেই আমার হৃদয়ের ট্রান্সফরমার তোমার হৃদয়ের Ac তড়িৎ প্রবাহের জন্য অপেক্ষা করে আছে । তোমাকে এক দিন না দেখলে আমার হৃদয় লিফ্ট পাম্পের মত ওঠা নামা করে । বন্ধ হয়ে যায় মানব গিয়ার চাকা ।

যখন তোমাকে দেখি তখন নিজেকে হিলিয়ামের মত হালকা মনে হয় । প্রিয় আমার মনের পিকচার টিউবে শুধু তোমার ছবি ভেসে ওঠে । ওগো আমার আইসক্রিম,, ওগো আমার সোডিয়াম কার্বোনেট ,, তুমি কি আমার মনের হাইড্রোকার্বনের বুদবুদ এর আওয়াজ শুনতে পাও না ???
তুমি কি আমার নাইট্রোজেন মিথাইল এর মত ভালবাসা বুঝতে পারো না ??? তবে কেন এমন নিষ্ক্রয় গ্যাসের মত আচরন করো !!!
ওগো আমার অক্সিজেন সিলিন্ডার । কার্বন-ডাই-অক্সাইডে ভরা এই পৃথিবীতে তোমার বিশুদ্ধ অক্সিজেন দিয়ে আমাকে বাঁচাও । এসো আমরা দুজন আমাদের হৃদয়ের জারণ বিজারণ ঘটিয়ে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হই । আমাদের প্রেমের ট্রানজিস্টর ও সিলিকন চিপ কোনো দিনও নষ্ট হতে দেবো না ।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আমাদের প্রেমে যদি মরিচা পড়ে তবে নতুন করে আমরা গ্যালভানাইজিং এর প্রলেপ দিয়ে আমাদের প্রেমকে চাকচিক্যময় করবো ।

............ইতি ............
,,,,, তোমার মজনু ,,,,,

সোনার গাড়ি (মজার একটি কবিতা)

পার্কে এসেছি আজ আমি সহসা,
দূরে বসা এক মেয়ে, বড় ফরসা,
নাক তার খাড়া খাড়া,
চুল দেখি রঙ করা,
চেহারা নজর কাড়া
চোখেতে নেশা।

পার্কেতে বসে আছি আমি একেলা,
চোখে চোখে তার সাথে করছি খেলা।
তার পাশে সিট ফাকা,
আর যে গেল না থাকা,


মেয়েটা যে বড় পাকা
হাসছে মেলা।

তার সাথে কেউ নাই, সেও একেলা। হঠাৎ
এক বুড়ো বেটা আসল Car
গাড়ি করে তুলে নিয়ে গেল উহারে।

ঠাই নাই, ঠাই নাই ছোট সে গাড়ি,আমি কিছু
করার আগে দিয়েছে ছাড়ি।

আমি হেঁটে চলি ধীরে, যাব এখন ঘরে ফিরে,
কেউ নাই চারিধারে,
আমি কি করি?

যা ছিল নিয়ে গেল ছিনতাইকারী।
সংগৃহিত

চিঠি পড়ে বেহুশ স্যার

স্কুলের পিয়ন এসে হেডস্যারকে একটা চিঠি দিল। ঐ স্কুলেরই এক ছাত্র চিঠিটা লিখেছে। চিঠিটা পড়ে স্যার রাগে নিজের চুল টেনে ছিঁড়তে লাগল !!কি লেখা ছিল সেই চিঠিতে ??
ডিয়ার স্যার,
সবার আগে জানতে চাই, পরীক্ষার সিলেবাস কোন
পাগলে তৈরি করে ? সিলেবাসের সাইজ
দেখলে মনে হয়, ছাত্রদের উপর বহুদিনের
পুরোনো কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। এবার
বলুন, এত কঠিন প্রশ্ন বানানোর জন্য
আপনারা কত টাকা ঘুষ খান ?
প্রশ্ন দেখে স্টুডেন্টদের মাথায় ডায়রিয়া শুরু
হয়ে যায় !! প্রতিশোধ নেন, ঘুষ খান, মেনে নিলাম ।
কিন্তু খাতাটা তো অন্তত একটু দয়া-মায়ার সহিত
দেখতে পারেন !!
আপনারা আপনাদের বউয়ের
সাথে ঝগড়া করে খাতাদেখতে বসেন, তারপর
আমাদের খাতার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।
আপনারা শিক্ষিত লোক,সমাজের বিবেক।
এভাবে দিনের পর দিন বিবেকহীন কাজ করে আমাদের
লাইফ হেল করে দিবেন না। আশা করি,
আপনি আমাদের দুঃখটা একটু হলেও বুঝতে পারবেন।
ইতি,
আপনার একান্ত বাধ্যগত ছাত্র
.
.
আমারে পাগল পাইছেন??
নাম লেইখা বাঁশ খাই
ফেসবুক থেকে সংগৃহিত।

১৬টি হাসির কৌতুক

1) স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে সারাদিন ঝগড়া চলে। অথচ তাদের পাশের ফ্ল্যাট থেকে সারা দিনরাত হাসির
শব্দ শোনা যায়। স্বামী একদিন আর থাকতে না পেরে পাশের বাসার ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা ভাই, আমাদের
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সারাদিন ঝগড়া হয়, আর আপনাদের বাসা থেকে সবসময় হাসির আওয়াজ
পাওয়া যায়। আচ্ছা, আপনারা ঝগড়া না করে এত সুখে কি করে থাকেন বলুন তো?
পাশের বাসার ভদ্রলোক রেগে বললেন,
কে বলেছে আমরা সুখে আছি?
ঝগড়া করি না এটা কে বলল?
— ইয়ে মানে… তাহলে যে আপনাদের বাসা থেকে সবসময় হাসির আওয়াজ শুনতে পাই…
— আরে ধুর, আমার বউ এর সাথে সবসময় ঝগড়া লেগেই আছে। আর ঝগড়া হলেই ও হাতের কাছে যা পায় আমার
দিকে ছুঁড়ে মারে। আমার গায়ে লাগলে ও হাসে, আর না লাগলে আমি হাসি।
 
2) পাপ্পু তার ডাইরীতে লিখছে……
আজ আমার আপুর বাচ্চা হবে ,
কেউ জানে নাবাচ্চাটা ছেলে হবে
না মেয়ে হবে ,
তাই আমিও জানি না……..
.
..
.

.
..
.
..
.
..
.
আমি মামা হব নাকি মামী হব

3)  পুলিশ বলছে চোরকে, লজ্জা করে না তোমার? এই নিয়ে তৃতীয়বার তুমি থানায় এলে!
চোর: স্যার,
.
.
.
.
.
.
আমি তো মাত্র তৃতীয়বার, আপনি যে প্রতিদিনই আসেন!

4)  শিক্ষকঃ বল্টু,বল সন্ধি কাকে বলে???
বল্টুঃ স্যার, প্রথমটুকু পারি না………শেষেরটুকু পারি……….।
শিক্ষকঃ মনে মনে বলছেন..(বল্টুর
মতন খারাপ ছাত্র সন্ধি শেষেরটুকু
পারলেও ভাল) তাই তিনি বললেন….. বল শেষেরটুকুই
বল।
.
.
.
.
.
.
.
বল্টুঃ স্যার, শেষেরটুকু হল………
তাকে সন্ধি বলে………

5)
জন্মের সময় আমি খুব কেঁদেছিলাম কিন্তু এখন আমার সব কিছুতেই হাসি পায়। আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি।
6)  এক মাতাল একদিন অনেক মদ
খেয়ে মাতাল
হয়ে বাড়িতে ঢুকল|কিন্তু
সে ঘরে না ঢুকে ভুল
করে গোয়াল ঘরে ঢুকে পড়ল | তারপর
গরুর লেজ
ধরে বলল … … … … … … … … … … … …
… … … …
কিগো ময়নার মা ,প্রতিদিন
দুটো বেণী কর ,আজ একটা কেনো?
6)  বলিউড কিং শাহরুখ খানের সিনেমা থেকে আমরা যা যা শিখলামঃ
♦ কুছ কুছ হোতা হ্যায়- বন্ধুর সাথে প্রেম।
♦ মহাব্বাতে- প্রিন্সিপালের মেয়ের সাথে প্রেম।
♦ কাল হো না হো- প্রতিবেশীর মেয়ের সাথে প্রেম।
♦ কাভি খুশি কাভি গাম- চাকরের মেয়ের সাথে প্রেম।
♦ কাভি আলবিদা না কেহেনা- পরের বউয়ের সাথে প্রেম।
♦ বাজিগর- শত্রুর মেয়ের সাথে প্রেম।
♦ পরদেশ- বন্ধুর বাগদত্তার সাথে প্রেম।
♦ দিল সে- সুইসাইড স্কোয়াডের মেয়ের সাথে প্রেম।
♦ ম্যায় হু না- টিচারের সাথে।
7)  দেশি ফ্রিল্যান্সারদের ২৪ ঘণ্টায় ১ কোটি টাকা আয়!
আউটসোর্সিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিদিন এক কোটি টাকা বিদেশ থেকে আয় করছেন। ফ্রিল্যান্সিং এ বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম। সম্মেলন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে…|||
8)  বল্টু একবার পূর্ণিমার রাতে
এক গোরস্তানের পাশ দিয়ে একাযাচ্ছিল।
তার খুব ভয় ভয় লাগতেছিলো..!!
হঠাত্ দেখলো যে একটা লোক
কবরের পাশে বসে আছে !!
লোকটিকে দেখে বল্টু তার কাছে
এগিয়ে গিয়ে বলল, “একা একা
ভয় লাগছিল !! আপনাকে দেখে একটু
সাহস হল !! কিন্তু এসময় আপনি
এখানে কি করেন ??”
লোকটি বলল, “কবরের ভেতরে খুব
গরম লাগতেছিল !! তাই বাইরে এসে
একটু বাতাস খাচ্ছি !!”
ল্যাও !! এবার ঠ্যালা সামলাও!!
9)  —–>জীবনের ৫টি চরম সত্য<—–
১. মায়ের মত কেউ আপন হয় না ।
২. গরিবের কোন বন্ধু হয় না ।
৩. মানুষ সুন্দর মনকে খোজে না, সুন্দর
চেহারা খোজে ।
৪. সম্মান শুধু টাকার আছে মানুষের নেই ।
৫. মানুষ যাকেই
বেশি ভালবাসে সে বেশি কষ্ট দেয় ।
10)  মা কখন মিথ্যে কথা বলে ?????




যখন রাতে মাত্র ৪ টা রুটি থাকে , আর সদস্য সংখা ৫ হয়,
মা তখন বলে -
” আমি একটু আগে খেয়েছি । “
মা এর ভালোবাসা এমন ই . . . . .
11)   জেনে নিন আপনার কম্পিউটার কীবোর্ডের উপরের ১২টি ফাংশন কী এর প্রত্যেকটির ভিন্ন ভিন্ন কাজ। আচ্ছালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন। আমি ও আছি ভালোই আলহামদুলিল্লাহ্। যাই হোক আজ আমি যেই পস্ট টির কথা বলছি সেটি সম্পকে অনেকে হয়তো জানেন, যারা না জানেন তারা দেখে নেন কাজে লাগতে পারে।
আমাদের কম্পিউটার কিবোর্ডের উপরের দিকে F1, F2, F3 এরকম F12 পর্যন্ত ১২টি ফাংশন কী দেয়া আছে। এর প্রত্যেকটির একেকটি ভিন্ন ভিন্ন কাজ রয়েছে। তাহলে চলুন এক এক করে দেখে নেই কাজগুলোঃ
F1 : এই বাটন টি যেকোণ প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার এর জন্য সাহায্যকারী কি হিসেবে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ আপনার একটিভ উইন্ডোর জন্য হেল্প পেইজ দেখতে হলে এই বাটন টি প্রেস করলেই চলবে।
F2 : Rename করার জন্য শর্টকাট কি হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। আপনার সিলেক্টকৃত কোণ ফাইল বা ফোল্ডার রিনেম করতে সিমপ্লি এই বাটন টি প্রেস করুন। তাছাড়াAlt+Ctrl+F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের একটি নতুন ডকুমেন্ট খুলতে পারেন। আরেকটা ব্যবহার আমি করে থাকি আর তা হল ওয়ার্ডের প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা। তার জন্য জাস্ট ctrl+f2 চাপুন।
F3 : শুধুমাত্র F3 চেপে আপনি যেকোন প্রোগ্রামের বা ডকুমেন্টের সার্চ অপশান আনতে পারেন। ঠিক এখুনি কি টা চাপুন তো আর দেখুন আপনার ব্রাউজারের ডান পাশে একটি সার্চ বক্স এসেছে! shift+f3 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কোণ শব্দকে বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা ছোট হাতের থেকে বড় হাতের করতে পারেন। এবং সিলেক্টকৃত ঐ শব্দটির প্রথম অক্ষর যদি বড় হাতের রাখতে চান তাহলেও shift+f3 চাপুন।
F4 : এই বাটন দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের last action performed Repeat করা যায়। Alt+F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। Ctrl+F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয়।
F5 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে find, replace, go to উইন্ডো খোলা হয় এই বাটন চেপে। যেকোণ পেজ রিফ্রেশ করতে এই পেজটিই ব্যবহার করা হয়। পাওয়ার পয়েন্টে স্লাইড শো শুরু করা এবং বন্ধ করার জন্য এই বাটন টি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
F6 : মাউসের কার্সরকে ইন্টারনেট ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে নিয়ে যেতে এটি চাপলেই হবে , এখুনি ট্রাই করে দেখুন। Ctrl+Shift+F6 চেপে ওয়ার্ডের সক্রিয় ডকুমেন্ট রেখে অন্যটি ব্যবহার করা যায়।
F7 : চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা বানান ও গ্রামার ঠিক করা হয় এবং মজিলা ফায়ারফক্সের Creat browsing চালু করা হয়। Shift+F7 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার ডিকশনারি চালু করা হয়।
F8 : বিশেষ করে কম্পিউটার চালু করার সময় এই কি টী কাজে লাগে । সাধারণত উইন্ডোজ safe mood এ চালু করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
F9 : Quark 5.0 এর মেজারমেন্ট টুলবার ওপেন করার জন্য এটী কাজে লাগে।
F10 : এটি চেপে ইন্টারনেট ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয়। Shift+F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা লিংক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয়।
F11 : আপনার সামনে স্ক্রিনে একটিভ উইন্ডোটিকে ফুলস্ক্রিন করতে এবং নরমাল মুডে আনতে এই বাটন টি চাপলেই হবে। এখুনি দেখুন।
F12 : F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের Save as উইন্ডো ওপেন করা হয়। Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট সেভ করা হয়। এবং Ctrl+Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা হয়। বর্তমান সময়ে আমরা সবাই অভ্র ব্যবহার করে থাকি, আর এই অভ্র সফটওয়্যার এ বাংলা এবং ইংরেজী ভাষা সিলেক্ট বা পরিবর্তন করতে ডেস্কটপ কম্পিউটারে শুধু মাত্র f12 চেপে বাংলা থেকে ইংরেজীতে বা ইংরেজী থেকে বাংলা মুড এ আসতে পারবেন। আর ল্যাপটপে fn+f12 চাপতে হবে।
12)   আমি দুষ্টু কিন্তু খারাপ নই ,,
আমি আমার মতো তোমার মতো নই ,,
মনে রেখো আমার বন্ধুত্ব !!
তোমার বন্ধুদের বন্ধুত্বের চেয়ে কম নয় ……………….
13)   wife :তুমি আমাকে কতটুকু
ভালোবাসো ?
Hus : আমি তোমাকে অনেক
ভালবাসি, কখনও
তোমাকে বুলতে পারবনা ।
wife : তুমি আমাকে কেমন
ভালোবাসো একটো খুলে বলনা
Hus : okey, যেমন
ধরো আমি হোলাম মোবাইল আর
তুমি সিম কার্ড
সিম কার্ড ছাড়া মোবাইল যেমন
তোমাই ছাড়া আমি তেমন ।
wife : woow,, দারুন
রোমান্টিক ,,,,,,,,,,,,,,,,,
Hus : (মনে মনে) আল্লাহ
বাচাইছে সে বুজতে পারেনি আমি
একটা চাইনা মোবাইল আর এর
ভিতরে চারটা সিম ঢুকানু
আছে,,,,,hahaha
14)    এই পৃথিবীর সবচে’ সুন্দর জিনিস কী?
মানুষের বিস্মিত চোখ। আমার ধারণা,
সৃষ্টিকর্তা মানুষের বিস্মিত চোখ
দেখতেই সবচে’ পছন্দ করেন,
যে কারণে প্রতিনিয়ত মানুষকে বিস্মিত
করার চেষ্টা তিনি চালিয়ে যান। যাদের
তিনি অপছন্দ করেন তাদের কাছ
থেকে বিস্মিত হবার ক্ষমতা কেড়ে নেন।
তারা প্রতিনিয়ত বিস্মিত হয় না …
15)   শিক্ষকঃ কপাল দিয়ে একটি কবিতার পংক্তি বল তো।
ছাত্রঃ কপাল ভাসিয়া যায় নয়নটির জলে।
শিক্ষকঃ তুমি একটা গাধা! চোখের জল কখনো কপাল দিয়ে যায়?
ছাত্রঃ স্যার,পরের লাইনটি শুনুন, ঠ্যাং দুটি বাধা ছিল গাছের এক ডালে।:-
15)   জুমু’আর দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য: ১, এই দিনে আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২, এই দিনে আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আ:)-কে দুনিয়াতে নামিয়ে দিয়েছেন।
৩, এই দিনে আদম (আ:) মৃত্যুবরণ করেছেন।
৪, এই দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময়ে হারাম ছাড়া যে কোন জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।
৫, এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। তাই আসমান, যমীন ও আল্লাহর সকল নৈকট্যশীল ফেরেশতা জুমু’আর দিনকে ভয় করে।
(ইবনে মাজাহ্, মুসনাদে আহমদ)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়।
(ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না।
(খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না।
(গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)
16)
এটি আমাদের তামাবিল সীমান্ত থেকে ৩০-৪০মিনিটের ড্রাইভওয়ে.. নাম ‘বোরহিল ফলস’…শিলং-চেরাপুঞ্জি-ডাওকির অনেক বিখ্যাত ট্যরিস্ট স্পটের চেয়ে শতগুণে ভালো হলেও এতটা পরিচিত নয় কারণ খুব কাছেই বিএসএফ ক্যাম্প..সবাইকে সবসময় যেতে দেয় না ওরা .. তাদের মুড ভালো থাকলে বা মন ভজাতে পারলেই কেবল অনুমতি মেলে…বেশির ভাগ গাইড বা ড্রাইভার এটির কথা জানেই না, রাস্তাটাও অনেকে চেনে না..ডাওকি-শিলং পথের মূল রোড ছাড়াও একটি পথ আছে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে, ওই পথে গেলেই কেবল এই বিস্ময় ফলসের দেখা মেলে…আমাদের ‘গুডলাক’ ব্যাপক ‘ভালো’ ছিল…আমাদের ড্রাইভার নিজে থেকেই ওখানে নিয়ে গেছে বিএসএফের কাছে মিথ্যে বলে…!
)

Wednesday, 23 July 2014

একটি ঠক খাওয়া

একটি ঠক খাওয়া

অস্থির সত্তা
............................
হাসতে হাসতে রিক্সায় বসে মোবাইল ফোনটা দেখছে কলিম। মোবাইলটা দামীই মনে হয়। বার বার নেড়ে চেড়ে দেখছে আর ভাবছে মোবাইল কিনবি কথা বলার জইন্য তার মধ্যে আবার গান বাজনা লাগাবি কেন? ছবি তুলবি কেন।? এতই যদি সখ ক্যামেরা কিনবি, সিডি বাজাবি মোবাইলটা কে কষ্ট দিস কেন। এভাবেই মনে মনে সদ্য চুরি করা মোবাইল টা কে হালাল করার বিভিন্ন দর্শন বানাচ্ছে কলিম ।
রিক্সা ওয়ালা কে বাড়ির ঠিকানা বলে মোবাইল টা পকেটে রেখে একটু আরাম করে বসে সে। ভাবে তার চোর জীবনের কথা। এ যাবত অনেক মোবাইলই তো সে চুরি করেছে কিন্তু আজকের মত এত খারাপ লাগে নাই তার। আচ্ছা যার মোবাইল চুরি করেছে, সে লোকটা কি করছে এখন। পুলিশের কাছে গেছে কি? নাহ এখন আর কেউ মোবাইল হারিয়ে পুলিশের কাছে যায় না। তাহলে কি লোকজনের সামনে হাউ মাউ করে কাঁদছে। কাঁদছে আর বলছে, ওরে বাবা রে ,আমার সব শেষ হল রে। কোন হারামজাদা আমার এই ক্ষতি করল রে.......
নিজের অজান্তে হো হো করে হেসে ওঠে। আমাদের মন এতটাই কলুষিত যে, আমরা অন্যের ক্ষতি দেখলে নিজের অজান্তে আনন্দ পাই আর মুখে সমবেদনা প্রকাশ করি। কলিম ও তার বাইরে নয়।
তাই ছলিম ও মুখটা বিষন্ন করে নিল। মনকে শাষাল অন্যের বিপদে হাসা ঠিক না। এমন ভাব করতে থাকল লোকটার মোবাইল চুরি হওয়ায় সেও খুব কষ্ট পেয়েছে। তাকে আটকানোর কেউ নেই এখানে । তবুও সে এমন করছে । মনে হয় অন্তরে বসা অন্তরযামীর সামনে অজান্তেই নত হচ্ছে সে।
আবারও ভাবতে খাকে। মোবাইলটায় হয়ত কোন প্রয়োজনীয় নম্বর থাকতে পারে যার কারনে হয়ত লোকটা খুব ক্ষতিতে পড়বে। হয়ত তার সন্তানের খোজ নিতে পারবেনা। এমনও হতে পারে লোকটার বউ হাসপাতালে। এখন তাকে ফোন করা দরকার। কি করবে এখন লোকটা ?
ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং....
চিন্তায় বাধা পরে কলিমের । হয়ত লোকটা ফোন করেছে। মোবাইল চুরিতো সে আজকে প্রথম করে না। তাই অভিজ্ঞতা থেকে জানে চুরির পর প্রথম ফোনটা ফোনের মালিক করে। প্রথমে অনুরোধ পরে গালিগালাজ করে। সে ও কম যায় না। দারুন দারুন কথা বলে, তবে কখনই গালি দেয়না সে। কারন তার পকেটে যার মোবাইল তাকে সে রিসপেক্ট করে। মোবাইল হারিয়ে গালি দিয়ে যদি লোকটার মনটা ভাল হয় মন্দ কি।
---হ্যালো। আস সালামু আলাইকুম।
অপর প্রান্তের কন্ঠ শোনা যায়-
--- ওয়ালাইকুম আস সালাম। ভাই সাহেব আমি সাহাজাহানের মা। কদমতলী থেকে।
নাহ মোবাইল ওয়ালা ফোন করে নাই। যাক গালির খাওয়ার হাত থেকে বাচা গেল।
--- হা সাহাজাহানের মা শুনতে পাচ্ছি।
--- ভাই আমার সাহাজাহানের জন্য কি করলেন। ভিটা বাড়ি বেচে আপনাকে টাকা দিয়ে তো আমরা মানুষের বাড়িতে আছি । গত বারে তো চাকুরী দিতে পারলেন না।টাকা টাও দিলেন না। বললেন পরে লোক নিলে ওর ব্যবস্থা হবে। সাহাজাহানে কইল আবার নাকি পেপারে লেখছে লোক নিব। আমার বাপ মড়া পোলাটার জন্য এবার কিছু একটা করেন।
--- আচ্ছা।
---আচ্ছা মানে? সাহাজাহান কি চাকুরী টা পাইব এবার?
--- টাকা যখন নিয়েছি কিছু একটা তো করতেই হবে।
--- আচ্ছা আচ্ছা ভাই সাহেব। আমি সাহাজান কে ঢাকা পাঠাচ্ছি। আমার মন বলছিল, আমার বসত ভিটা বেচার টাকা মারা যাবে না। ....
ফোন টা কেটে দিল কলিম। বুঝতে চেষ্টা করে ঘটনা কি। তবে চিন্তার দৌড় বেশী দুর য়ায় না। আবার একটা ফোন আসে।
ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং.... ক্রিং....
---হ্যালো
---- গুড আফটার নুন সেক্রেটারী সাহেব। কেমন আছেন?
--- ভাল।
--- আমরা তো আপনার বাসার সামনে । পার্টিকে নিয়ে এসেছি । আর সাথে পুরা টাই এনেছি।
--- পুরাটা মানে।
--- মানে ওই সারে তিন লাখই। আপনার কথাই রইল।
--- কি জন্য?
--- কি জন্য মানে। পরশুর কথা ভুলে গেলেন। হোম মিনিষ্ট্রির নিয়োগ টার ব্যাপারে।
--- ও
--- তা দরজাটা খোলার ব্যবস্থা করুন। কতক্ষণ আর বাইরে দাড়িয়ে থাকব।
--- আজীবন।
--- মানে? আপনি সেক্রেটারী স্যার বলছেন তো?
---মানে তোদের চাকুরী হবে না। চাকুরী পাবে কদমতলীর সাহাজাহান।
--- কি বলছেন এসব? আপনি সেক্রেটারী স্যার বলছেন তো?
কিছুক্ষণ নিরব থাকে কলিম। এর পর শান্ত কন্ঠে জবাব দেয়
--- নাহ । আমি সেক্রেটারী স্যার নই। অত বড় চোর এখনো হইতে পারি নাই।

লোডশেডিং এবং ৮ দফা দাবী

গত ৬০ঘন্টায় বিদ্যুত্ ছিল সাড়ে চার ঘন্টার মত (পল্লীবিদ্যুত্)।

 ........................................................

যেহেতু এটা আমাদের মজ্জায় ঢুকে গেছেই সেহেতু একে উপযুক্ত সন্মান দিয়ে বরণ করে নেওয়াই উচিত

১. জাতীয় ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত 'লোডশেডিং'কে ।
২. আগামী একসপ্তাহকে জাতীয় লোডশেডিং সপ্তাহ হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে এ একসপ্তাহ যেন হঠাত্ হঠাত্ বিদ্যুত্ চলে এসে নিরবিচ্ছিন্ন লোডশেডিং এ ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে ।
৩. লোডশেডিং উপর বিশেষ নাটিকা নির্মাণ করা যেতে পারে। যদিও তা প্রচারের প্রয়োজন নেই । আর প্রচার করলেও লোডশেডিং এর জন্য কেউ দেখতে পারবে বলে মনে হয়না ।
৪. প্রত্যেক নেতা নেত্রী ক্ষমতায় আসার আগে 'লোডশেডিং নিপাত' হবে বলে গলা ফাটায়। যদিও পরবর্তীতে তাদের কাছে লোডশেডিং এর ব্যাস কদর লক্ষ্য করা যায়। তাই এধরনের অপমানজনক 'ডায়লগ' বন্ধ করা এখন সময়ের দাবী। জাতি এখন 'ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন লোডশেডিং ব্যবস্থা করা হবে ,ইনশাল্লাহ' টাইপ ডায়লগ শুনার জন্য উদগ্রীব !
৫. অবিলম্বে লোডশেডিং সঙ্গীত রচনা ,সুর ও প্রত্যেকবার লোডশেডিং হওয়া মাত্রই তা টিভিতে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৬. প্রতিবছর একবার 'লোডশেডিং' উত্সব বসাতে হবে । সেখানে লোডশেডিং এর উপকারী দিকগুলো তুলে ধরতে হবে ।
৭. অবিলম্বে লোডশেডিং এ অসাধারন অবদান রাখার জন্য 'পল্লীবিদ্যুত্' এর নাম পরিবর্তন করে 'পল্লীলোডশেডিং' করা যেতে পারে এবং এর সদর দফতর যে গ্রামে তার নাম পরিবর্তন করে অবশ্যই 'লোডশেডিংপল্লী' রাখতে হবে ।
৮. লোডশেডিং কে মৌলিক অধিকারের মর্যাদা দিতে হবে এবং 'সবার জন্য লোডশেডিং' এ স্লোগান নিয়ে এর প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
এই ৮দফা দাবী অবিলম্বে মানতে হবে , এই দাবী না মানলে ঘরে মেইনসুইচ অফ করে আমরণ লোডশেডিং অনশন করা হবে ।
 সংগ্রহঃ প্রজন্ম ফোরাম

রসের হাড়ি (এক মুঠো নির্শল হাসি)

১)
জামাই যে ঘরে বসে আছে তার ছাদের উপর ডিম রাখা
শাশুরি এসে বলছে জামাই সরুন ছাদে ডিম পারব  tongue_smile
২)
প্রেমিকাঃ জানু এবার ভাল করে দেখে বল না আমার শরীর এর কোন অংশ সবচেয়ে সুন্দর?
প্রেমিকঃ হুম, সেটা হল এমন একটা জিনিষ যেটা দেখতে নারিকেলের মত গোল ও সাদা। তার ভিতর আরো দুইটা বৃত্ত আছে, বৃত্ত এর উপর ডট।
প্রেমিকাঃ শয়তান! কি বলতে চাস?
প্রেমিকঃ সেটা হল তোমার চোখ।
৩)
দুই মাতাল ক্রিকেট খেলা দেখতেছে। একসময় ব্যাটস ম্যান একটা ছক্কা মারলো।
তো প্রথম মাতাল চিল্লাই উঠলো,গোল, গোল, গোল....
দ্বিতীয় মাতাল তারে ধমক দিয়া বললো, থাম, থাম, শালা মাতাল!!!!
গোল কি এই খেলায় হয় নাকি??? গোল তো ক্রিকেট খেলায় হয়!!!

৪)
জামাই রমজানে গেছে শ্বশুরবাড়িতে।
অনেকদিন বাদে আসছে তাই শাশুড়ি ভালো ভালো রান্না করছে। পোলাও, মাংস, রুইমাছ, কোপ্তা,কালিয়া, দই,বেগুনভাজি এবং পাটশাক।তো শাশুড়ি প্রথমে জামাইর প্লেটে একগাদা পাটশাক তুলে দিল।
জামাই তাড়াতাড়ি সেটুকু খেয়ে ফেলল।
এদেখে শাশুড়ি বলে উঠলেন বাবা তোমার বুঝি পাটশাকটা খুব ভালো লেগেছে,আরেকটু দেই?
বলতে বলতে আরেকগাদা পাটশাক জামাইয়ের প্লেটে তুলে দিলেন তিনি।
জামাই একটু মনক্ষুণ্ন হল।
খাওয়ার এতো আইটেম;বড় বড় মাংসের টুকরা, মাছের পেটি তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।এখন তো শুধু পাটশাক খেয়েই পেট ভরে গেল।
জামাই ঐটুকুও খেয়ে শেষ করতেই শাশুড়ি বললেন,
বাবা আরো একটু দেব?
জামাই তখন খাওয়া ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আম্মা আপনার আর কষ্ট করে প্লেটে শাক তুলে দেয়া লাগবেনা, পাটক্ষেতটা দেখাইয়া দেন,আমি নিজেই গিয়ে খাইয়া আসি।..

৫)
প্রচন্ড্র অলস এক লোক বড়শিতে মাছ তুলে বসে আছে।
পাশ দিয়ে একজনকে যেতে দেখে কোমল স্বরে বললেন,
ভাই মাছটা একটু খুলে দেবেন?
একটু বিরক্ত হয়েও মাছটা খুলে দিলেন লোকটি। তারপর বললেন,
এত অলস আপনি! এক কাজ করেন- একটা বিয়ে করেন।ছেলেপেলে হলে আপনাকে কাজে সাহায্য করতে পারবে।
উত্তর এলোঃ ভাই, আপনার জানাশোনা কোনো গর্ভবতী মেয়ে আছে?
৬)
স্যারঃ বলতো, শিশু আর গরুর মধ্যে পার্থক্য কি ??
ছেলে (অনেক্ষন চিন্তা করে....):
.
.
স্যার, গরু পানি খেয়ে দুধ দেয়, আর শিশু দুধ খেয়ে পানি দেয় !!

৭)
প্রেমিক-প্রেমিকা ট্রেনে করে যাচ্ছে…………
প্রেমিকাঃ “জানু, আমার মাথা ব্যাথা করছে”
প্রেমিক তার মাথাতে কিস করলো,মাথা বেথা চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর………
প্রেমিকাঃ “জানু, আমার কাঁধ ব্যাথা করছে”
প্রেমিক তার কাঁধে কিস করলো,কাধ বেথা চলে গেলো।
সামনে বসা বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ বুড়ো এইবার বলে উঠলোঃ-
.
.
.
.
.
.
.
.
বাবা, আমার তো ডায়রিয়া হয়ছে,১টা চুমা দিয়া চিকিৎসা করোনা....।
৮)
এক যুবক আর এক সুন্দরী তরুণী ট্যাক্সি করে বেড়াতে বেড়িয়েছে। মেয়েটি যুবকটিকে নিয়ে তামাশা করে মজা পায়।
হঠাত্  মেয়েটি বলল, দেখবে কাল আমি কোথায় ইনজেকশন নিয়েছিলাম?
ছেলেটি উৎসাহিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, হ্যাঁ হ্যাঁ দেখব। দেখাও।
মেয়েটি আঙুল তুলে বলল,





..........................ওই হাসপাতালটায়...........!

৯)
একদিন আমাদের শামসু এবং তিনজন আগুনের মত সুন্দরী মেয়ে অফিসে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে গেল। অদ্ভুতভাবে তারা চারজন একই নাম্বার পেল পরীক্ষাতে।তো অফিস কর্মকর্তারা পড়ল মহাফাপরে। চাকরি পাবে যে মাত্র একজন! তারা ঠিক করল একজন একজন করে ইন্টারভিউ নেয়া হবে তাদের। ইন্টারভিউতে একই প্রশ্ন করা হবে তাদের।


প্রথমে ডাক পরল প্রথম মেয়েটির। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, ‘বুকের ভেতর ও দুটো কি??’


জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে বাঘের মতো গর্জন ছাড়ল মেয়েটি। অফিস কর্মকর্তা ও তাদের ****্দ গুষ্টিকে দেখে নেবার কথা বলে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে।


দ্বিতীয় মেয়েকে একই প্রস্ন করা হল। দ্বিতীয় মেয়েটির মুখ লজ্জাতে লাল হয়ে গেল। কোন কথা না বলে রুম ত্যাগ করল সেও।


তৃতীয় মেয়েকেও একই প্রশ্ন করা হল। তৃতীয় মেয়েটি আরও অগ্নিমূর্তি ধারণ করল। অফিস কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করে ****্দগুষ্টি উদ্ধার করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।


সবার শেষে এল শামসু। বাকি তিন মেয়ের প্রতিক্রিয়া দেখে কর্মকর্তারা বিব্রত। তবুও জিজ্ঞেস করা হল তাকে, ‘বুকের ভেতর ও দুটো কি??’


শামসু মুচকি হেসে জবাব দিল, ‘স্যার...
.
.
.
.
.
.
‘BOOK’ এর ভেতর  ‘O’ দুটো ভাওএল (Vowel).......!!!
কিছু বুঝলেন ! বুঝলে ভালো আর না বুঝলে আরো ভালো  wink

১০)
একবার এক মহিলা মারা গেছেন। লাশ নিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। স্বামীর পিছনে একটি কুকুর, এর পিছনে কয় এক হাজার লোক। এক লোক এসে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলো যে,
–কি হইছে ভাই…এত লোকজন কেন?
–আমার বউ মারা গেছে
– সরি, তো কিভাবে মারা গেল?
–ওইযে কুকুরটা দেখতে পাচ্ছেন এর কামড় এ
– ভাই আমারে একটু ধার দিবেন আপনার কুকুরটা।
– ঠিক আছে তাইলে লাইন এর পিছনে গিয়া সিরিয়াল দেন।

১১)
অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান এসেছেন। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক হাসিমুখে  বললেন, তা কেমন আছেন, হঠাৎ অনেক দিন পর এলেন, আজ তো আর থাকবেন না, আবার কবে আসবেন?
মেহমান(হেসে) : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো আর দিবেন না, লুঙিটা দিন গোসলটা সেরেই আসি।

১২)
মেডিকেল কলেজে একজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। তিনি তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেন, “শোন তোমরা, কোন রুগীকে প্রেসকিপশন দেওয়ার আগে ভালো করে অবজার্ব করতে হবে। এখন আমি তোমাদের একটি অবজার্বেশন পাওয়ার এর টেস্ট নিব, দেখি তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার কেমন?”
এই বলে তিনি একটি টেস্টটিউব বের করলেন। বললেন, এটি একটি ইউরিনের স্যম্পল। এটিকে ভালোভাবে অবজার্ব করতে হলে এর স্বাদ, গন্ধ সব টেস্ট করে দেখতে হবে। তো তিনি তার একটি আঙ্গুল টেস্টটিউব এ ডুবিয়ে তা মুখে দিয়ে দেখালেন। বললেন, ইউরিন টেস্ট করতে হয় এইভাবে। তারপর তিনি তার ছাত্রদের বললেন একে একে টেস্ট করতে।
ছাত্ররা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। তারপর একজন সাহস করে, টেস্টটিউব হাতে নিয়ে টেস্ট করে দেখল। তার দেখাদেখি বাকি সবাই এক এক করে টেস্ট করলো। সবাই কোন না কোন মন্তব্য করলো। কেউ বলল, ঝাঁঝালো, কেউ বলল টক।
শেষ ছাত্র টেস্ট করার পর শিক্ষক বললেন, “তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার খুবই খারাপ, তোমরা কেউই খেয়াল করলে না যে আমি ২য় আঙ্গুল টেস্টটিউব এ দিয়েছি আর মুখে দিয়েছি ৩য় আঙ্গুল”।

১৩)
গ্রামের এক স্কুল পরিদর্শন করতে গেলেন এক পরিদর্শক। ক্লাসে ঢুকে এক ছাত্রকে জিগগেস করলেন, বল তো, সোমনাথ মন্দির কে ভেঙেছে?
ছাত্র বলল, আমি ভাঙিনি, স্যার।
পরিদর্শক রেগে শিক্ষককে বললেন, আপনার ছাত্র এসব কি বলছে?
শিক্ষক নরম গলায় বললেন, স্যার, আমি জানি। ও মন্দির ভাঙার মত ছেলে নয়।
পরিদর্শক ক্লাস ছেড়ে হেড মাস্টারের রুমে গেলেন।
-আপনার ছাত্র শিক্ষক  এসব কি বলছে! সোমনাথ মন্দির নাকি তারা ভাঙেনি!
হেড মাস্টার বললেন, জ্বি স্যার আমি জানি, আমার ছাত্র শিক্ষকরা এমন কাজ করতে পারে না।
পরিদর্শক ফিরে গিয়ে ঐ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়ে ঐ স্কুল বাতিল করার জন্য সুপারিশ করলেন। মন্ত্রী সব শুনে বললেন, সামান্য একটা মন্দির ভাঙ্গার জন্য কেন এত হইচই করছেন?টাকা নিয়ে যান। নতুন একটা বানিয়ে নেন।

১৪)
ম্যানেজমেন্টের ছাত্র টোকাইমামা ক্লাসরুমের  পাশের করিডোরে একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরলো মেয়ে অবাক হয়ে বললো এটা কি হলো ???!!!
টোকাই মামাঃ ডাইরেক্ট মার্কেটিং জানু !
মেয়ে ঠাশ করে টোকাই মামার গালে এক চর বসাই দিলো !!!
টোকাই মামাঃ এটা কি হলো ??
মেয়েঃকাস্টমার ফিডব্যাক !!!

ভালোবাসার মজার একটি গল্প

একটি প্রেমের মজার কাহিনী , গল্প নয় একেবারেই সত্যি । আমার ছোট মামা একটা মেয়েকে খুবই ভালোবাসতো , কিন্তু তাদের এই ভালবাসা কোন পক্ষই মেনে নেয়নি , তাই তারা দুই জন হঠাত করেই একদিন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে , এবং প্রায় ১০-১৫ দিন পালিয়ে থাকার পর , একদিন বাড়ি চলে আসে মামা তার বউ নিয়ে , যাই হোক ঘটনা যখন ঘটে গেছে , সবাই মেনে নিয়েছে , কিন্তু আমার নানী , নতুন মামী এবং মামার উপর অনেক রাগ করে আছে , কারণ ছোট ছেলেকে খুব ধুমধাম করেই বিয়া করাতে চেয়েছিল নানী । মামা বউ নিয়ে বাড়িতে এসেছে দুই তিন দিন হয়ে গেছে, কিন্তু নানী রাগ করে নতুন বউ সাথে কথাও বলে না , তাই আমার মামা নতুন মামীকে শিখাইয়া দিয়েছে তুমি আমার মার সব কাজেই সাহায্য করবে এবং মাকে কোন কাজই করতে দিবেনা , সব কাজই তুমি করবে , এবং মা কে রান্না করতেও দিবানা সব রান্নাবান্না তুমি করবা , তাহলে খুব সহজেই মা তোমাকে মেনে নিবে , মার ওজুর পানি গরম করে দিবে , মাথার উকুন মেরে দিবে , দেখবে আস্তে আস্তে তোমাকে সে অনেক আদর করবে :P এই বুদ্ধি শুদ্ধি বউ কে ভালো করেই শিখিয়ে দিয়েছে মামা , এবং নিজেও ভালো সাজার জন্য ধানের জমিতে চলে গেছে ধান কাটতে , যদিও এর আগে কোন দিন সে ধান খেতের আইল দিয়েও হাটেনাই , কিন্তু সবার কাছে ভালো সাজার জন্য বেচারা ধান খেতে গিয়ে ধান কাটতে , ধান কেটে হয়রান পয়রান হয়ে দুপুরে বাড়ি এসেছে ভাত খেতে । বেচারা কোন দিন এতো কষ্ট করে নাই :D তাই তার ম্যাজাজ গরম হয়ে আছে , যখন ভাত খেতে বসেছে তখন দেখে ভাত সিদ্ধ ঠিক মতন হয় নাই , তরকারীতে লবন হয় নাই , ডাইলও ফুটেনাই , মামা তখন উত্তেজিত হয়ে বলে,X(X(X(X( হই এই ভাত এই ডাইল এই তরকারি কে রানছে ফুটেনাই ফাটেনাই লবনা হয় নাই ;);)এই বলে চিৎকার করে উঠেছে :P তখনই আমার নানী বলে তোর বউ রান্না করেছে :P তখন মামা তো হতবঙ্গ হয়ে বলে ভাল হইছ ভালো হইছে ;);););) হায়রে প্রেমের বিয়া :P তার পর থেকে আমার এই মামা অনেক কিছুই সহ্য করে নিয়েছে , কারণ মামী ছিল অনেক ধনী বাপের এক মাত্র মেয়ে , কোন দিন ভাতের পেলেট ধুয়েও ভাত খেতে হয়নি , আর সে কিনা ভাত রান্না করে তরকারি রান্না করে , দিনে হাজারো কাজ করতে হতো সবার কাছে ভালো সাজার জন্য /:)আর মামী সব কাজেই ভুল করে , কাজ আরো বাড়িয়ে দিতো :P আর এই সব দেখেও চোখ বুজে সহ্য করে যেতো আমার মামা , নানীর প্যানপ্যানানি , মামা আমার থেকে ৪-৫ বছরের বড় হবে , তাই তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতন , তাই কিছু হলেই বলতাম :P হই এই ভাত এই ডাইল এই তরকারি কে রান্না করেছে , লবন হয় নাই সিদ্ধ হয় নাই ফুটেনাই ফাটেনাই :P হাঁ হাঁ হাঁ হাঁ করে হাসতাম , আর মামাও রেগে ফায়ার হয়ে যেতোX(X(X( , কিন্তু এখন আমার সেই মামী সব কিছুই নিজের হাতে সামলিয়ে নিয়েছে ।৩-৪ জন মহিলা যেই কাজ করতে পারবেনা , সেই কাজ সে একাই করতে পারে , বেচারি সাড়া দিন কাজের তালেই থাকে , নানী মারা গেছে দুই বছর হলো এতো বড় সংসার সে নিজেই আগলে রেখেছে । আর মামা এখন একজন খাটি কৃষক । কোন দিন কেউ ভাবেনি তারা এভাবে সব কিছু এতো সুন্দর করে গুছিয়ে নিবে । প্রথম দুই তিন বছর মামা আর মামীর কান্ড দেখে লোকজন হাসাহাসি করতো আর ঠেশ দিতো /:)/:), কিন্তু এখন তারা সবার কাছে আদর্শ হয়ে আছে , কিভাবে সবাইকে আপন করে নিতে হয় বা কিভাবে সব কিছু গুছিয়ে রাখতে হয় , তায় তাদের না দেখলে বুঝাই যাবেনা । কোটি পতি বাপের একমাত্র মেয়ে প্রেমের ফাদে পড়ে কিভাবে নিজেকে বদলে নিয়েছে যা কল্পনাও করা যায়না । আর মামার কথা কি বলবো সে তো কোন দিন বাজারও করে নাই , আর সে কিনা এখন ২০-২৫ কানি জমি চাষাবাদ করে , ৫-৬০০ মন ধান গোলায় উঠায় । প্রেম অনেকের জীবন বদলে দেয় আবার অনেকের জীবন কেড়েও নেয় ।
/:)/:)/:)/:)
একজন নারী ইচ্ছা করলে একটা সংসার ধ্বংস করে দিতে পারে , আবার ইচ্ছা করলে সর্গ বানাতে পারে ।।

কিভাবে ফেসবুকে মেয়ে পটানো যায়?

"ফেইসবুকে মেয়ে পটানোর কার্যকর টিপস" 

 ( অনলি ফর বয়েজ )


____________________

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে " Example Is Better Than Precept "
অর্থাৎ উপদেশ অপেক্ষা দৃষ্টান্ত শ্রেয় ৷ কিন্তু আমি এখনো পাপ্ত বয়স্ক হয়নি বিধায় প্রেম নামক দূর্লভ বস্তুটির সাথে এখনো কানেকশন করা হয়নি ৷ তাই আপনার উদাহরন দেখাতে পারলাম না ৷
তবে প্রেম না করলেও মেয়ে পটাতে কিন্তু আমি খুবি পটু ৷ এবার আমার উর্বর মস্তিক থেকে আপনাদের জন্য ফেইসবুকে হাতির মত মোটা মেয়ে থেকে শুরু করে ক্যাঙ্গারুর মত চিকন মেয়েদের কিভাবে পটানো যায় এ বিষয়ে কিছু টিপস থাকবে ৷ টিপস দেবার পূর্বে চলুন এক নজরে স্বভাব ও আচরেনর ভিত্তিতে ফেইসবুকের সমস্ত মেয়ে প্রজাতির শ্রেনী বিন্যাস দেখে নিই ৷

 



Kingdom - Facebookia (ফেইসবুক জগতের)

Phylum - Apicomplexa ( ম্যালেরিয়ার জীবানু পর্বের)

Sub Phylum - Moodtebrata ( ভাবুক উপপর্বের)

Class - Foulecta (ফাউল শ্রেনীর)

Order - Naugtilientia ( দুষ্টো বর্গের )

Family - Scoundrelidae ( পাজি গোত্রের )

Genus - Virus ( ভাইরাস গণের )

Species - V.bangladeshi (বাংলাদেশি ভাইরাস প্রজাতির ) এক প্রকার স্ত্রী লিঙ্গের প্রানী ৷

এবার কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল উদ্দেশ্যের দিকে যাই ৷ আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে সমস্ত টিপসটিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হলো ৷


রিকুয়েষ্ট পাঠানোর পূর্ববর্তী ও পরবর্তি কাজ সমূহ ঃ

(১) নিজের প্রোফাইল সম্পাদনা করুন ৷ প্রোফাইল পিকচারটি আপনার নিজের অথবা কার্টুনের ফটো দিন তবে অন্য ছেলেদের ফটো দিতে চেষ্টা করবেন না ৷ বৃত্তান্তটি সুন্দর ভাবে নিজের মত করে লিখুন না পারলে অন্য ছেলের বৃত্তান্ত থেকে কপি মারুন ৷ (আমার প্রোফাইল থেকে মারলে মাইর একটাও মাটিতে পরবেনা পিঃ) ৷

(২) প্রোফাইলটি সম্পাদনা হয়ে গেলে ভাবুন কোন ধরনের মেয়ে পটাতে চান ৷ ফেইসবুকে দুই প্রকারের মেয়ে আছে যেমনঃ (ক) সাধারন শ্রেনী (খ) লেখিকা শ্রেনী ৷ লেখিকাদের চেয়ে সাধারন মেয়ে অনেক ভালো কারন যারা লেখিকা এদের লেখায় ভালোবাসার কমতি নেই কিন্তু এদের মনে নিষ্ঠুরতারও কমতি নেই ৷ তাই যারা এখনো নতুন তারা এই শ্রেনীর মেয়েদের এড়িয়ে চলুন ৷

(৩) মেয়ে চয়েজ করা হয়ে গেলে কয়েকটি মেয়ে টার্গেট করুন যাদের আপনি পটাতে চান ৷ যেমন আপনি তিনজন লেখিকা টার্গেট করলেন ৷
তাদের মধ্য থেকে একজনের প্রোফাইলে ডুকুন ৷ ভালো করে বৃত্তান্ত পড়ুন এত তার সম্পর্কে ধারনা জন্মাবে ৷
খবরদার ! তখন রিকু পাঠাবেন না ৷ তার প্রতিটা স্ট্যাটাসে লাইক মারুন আর মজার মজার কমেন্ট করুন ৷ প্রথম প্রথম রিপ্লে না দিলেও পরবর্তী নিউটনের তৃতীয় সূত্র অবশ্যই অবলম্বন করবে ৷

(৪) এভাবে ৪ - ৫ টা স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট করে মেসেজ পাঠান ৷ তার প্রশংসা করুন ৷ যেমন ঃ আপি আপনার লেখাগুলো আমার খুব ভালো লাগে ৷ কেনো জানি মনে হয় আমার জীবনের সাথে খুব মিল পিঃ ৷ এই ভাবে প্রশংসা চালিয়ে যান ৷ একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন "মোম গলে তাপে আর মেয়েরা গলে প্রশংসায়" ৷ এবার মেয়ে যদি রিপ্লাই দেয় তবে আপনি প্রথম যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছেন ৷ এবার কিছুক্ষন কথা বলার পর তাকে ফ্রেইন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠান ৷ আমি ১০০% সিউর এক্সেপ্ট করবে ৷

(৫) এবার আপনি মেয়ের সাথে ফ্রেইন্ডশিপ করে ফেলেছেন সো আর কোনো সমস্যা নেই ৷ এবার যদি দেখেন মেয়েকে মেসেজ দিলে উত্তর দেয় তবে তাকে মজার মজার কৌতুক পাঠান ৷ মাঝে মাঝে তার দু একটি কথা নিয়ে মজা করুন এতে সে আপনাকে বুদ্ধিমান ভাবা শুরু করবে ৷ আর যদি দেখেন মেয়ে রিপ্লে দেয়না তবে আরো পরিশ্রম করতে হবে ৷ আগের মত তার স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট করা অব্যাহত রাখুন ৷ আরে ভাই মানুষ যদি প্রতিদিন একটা গাছকেও দেখে তবু তার প্রতি মায়া লাগা শুরু করে আর আপনিতো ছেলে মানুষই ৷ নিজের দাম নিজে না বুজলেও মেয়েরা ঠিকই বুজবে ৷

(৬) এরপর ধীরে ধীরে মেয়ে থাকে কোথায় ? কে কে আছে ? কোন কলেজে পড়? এগুলো জিজ্ঞেস করুন তবে দুলাভাই আছে কিনা ভূলেও জিজ্ঞেস করবেন না পিঃ ৷ এত কিছু করার পরো যদি মেয়ে লাইনে না আসে তবে এই মেয়ে বাদ দিয়ে অন্য মেয়ে ধরুন এবং টিপসগুলোর প্রথম থেকে শুরু করুন ৷

কোনো মেয়েকে আপনার উপর আকর্ষিত করতে শুধু এই টিপসগুলোই যথেষ্ট নয় ৷ একটি কথা খেয়াল রাখবেন এটি বাস্তব জীবনের মত এতটা সহজ নয় ৷ আপনি দেখতে অনেক সুন্দর অনেক স্মার্ট হতে পারেন কিন্তু ভালো করে লিখতে কিংবা মনের ভাবটা প্রকাশ করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার রুপ কোনো কাজে আসবেনা ৷ ফেইসবুক এমন একটি জায়গা যেখানে একজন মেয়ে একজন ছেলের উপর দূর্ভল হয় শুধু তার লেখা পড়ে চেহারা দেখে নয় ৷

এবার কিছু এক্সটা টিপস ঃ

মেয়েরা পৃথিবীতে যত আনন্দের জিনিস আছে এর মাঝে ঠাট্টা, ফাজলেমি এবং মজার মজার কথা শুনতে ভালোবাসে ৷ প্রচুর বই পড়ুন বিশেষ করে কৌতুক ৷ তবে অন্যের লেখা কৌতুক কখনো কোনো মেয়েকে পাঠাবেনা কারন সে হয়তো ভাবতে পারে আপনি সব কিছুই কপি পেষ্ট করে পাঠান ফলে আপনার লেখাগুলো আগের মত পড়বেনা ৷ নিজের ভাষার দিকে খেয়াল রাখুন ৷ যতই ফ্রি হোন না কেনো কখনো অশ্রীল ভাষা ব্যবহার করবেন না ৷ সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না চলুন যেগুলো সে বলতে চায়না ৷
আপনার একটি বন্ধু আছে সে অনেক ভালো লিখে এ টাইপের কথা ভূলেও বলা যাবেনা তাহলে আম আর ছালা দুটোই যাবে ৷

প্রথমেই আপনার জিজ্ঞেস করে নেয়া উচিত তার কোনো বয় ফ্রেইন্ড আছে কিনা ৷ যদি না বলে চালিয়ে যান আর হ্যা বললে ভাব নেয়া শুরু করেন ৷ আপনাকে জিজ্ঞেস করলে এক কথায় না না না ৷ তার স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা যাবেনা ৷ হয়তো আপনার হোম পেজে সে কার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করছে দেখতে পাবেন তবে আপনি গিয়ে সেখানে কমেন্ট করবেন না ৷ নিজের আত্নবিশ্বাস রাখুন ৷ কখনোই নিজেকে ছোট করা চলবে না তবে এমন কিছু বলবেন না যা সে অবিশ্বাস করতে পারে ৷ যেমন ঃ সে বললো করিম সাহেব কাল একটা নতুন প্রাইভেট কার কিনেছে তখন আপনি বললেন আরে এ রকম প্রাইভেট কার আমাদের ছাদে সবসময় দু চারটা থাকে ৷

নিজের প্রশংসা নিজে করবেন না ৷ তাকে বলুন আপনি খুব সাধারন তবে এমন কিছু করুন যেটা সত্যি অসাধারন ৷ একটি বেলুনে যত বেশি গ্যাস ভরবেন তত বেশি ফুলবে তেমনি একটি মেয়েকে যত বেশি প্রশংসা করবেন তত বেশি আপনার প্রতি দূর্বল হয়ে পরবে তবে এত বেশি গ্যাস ভর্তি করবেন না যেনো বেলুন বিস্ফোরিত হয় ৷ আমি অনেক বারই প্রশংসার কথাটি বলেছি এতে আপনারা বিরক্ত হতে পারেন তবে মেয়েদের সবচেয়ে দূর্বল দিকই এটা ৷

আমার মত অলসদের জন্য একটি ছোট্ট টিপস ঃ আপনি যদিই একান্তই অলস হয়ে থাকেন তবে আপনার কিচ্ছু করতে হবেনা শুধু গল্প কবিতা আর কৌতুক লিখেন ৷ একদিন শত শত মেয়েই আপনাকে পটাবে ইনশাহ আল্লাহ ৷ নিজের মর্যাদা ধরে রাখুন তবে কখনো ভাব নিবেন না ৷ কেউ মেসেজ পাঠালে উত্তর অন্তত দেবার চেষ্টা করবেন ৷ সবার সাথে রসিকতা করুন তবে ভদ্রভাবে ৷

আর কিছু বলার নেই ৷ এবার কাজ শুরু করে দেন ৷

(বি. দ্রঃ পোষ্টটি  http://facebook.com/sopnopurirrajputra/posts/130693107121079?_rdr থেকে সংগ্রিহিত)


Tuesday, 22 July 2014

বানান ভুলের উপকারিতা

(১) আপনি কি আমার মতোই যেখানে সেখানে লেখা-জোকা করেন আর হাজার খানেক বানান ভুল করেন?

(২) মানুষজন আপনাকে বানান বুল এর জন্য অপমান করতে করতে কি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে?

(৩) এখন বিরক্ত অথবা অভ্যস্থ হয়ে বানান ভুলের কথা উচ্চারণ আর করে না?

(৪) আপনি কি এ জন্য খুব্বী আফসেট?

(৫) কেন আপনার বানান বুল হয়- তা নিয়ে কি আপনি টেনশন যুক্ত?

(৬) মানুষের তৃরস্কার শুনতে শুনতে এখন কি লেখা-জোকা বন্ধ হবার উপক্রম?


নো টেনশন!
আসুন জেনে নেই বানান ভুলের উপকারিতা!
* আপনি যদি কোন লেখা লিখেন এবং তা যদি কেহ পড়ে মন্তব্য করে বানান ভুল। তাহলে ধরে নিবেন লোকটি আপনার লেখেটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছে। মনোযোগ সহকারে না পড়লে তিনি বানান ভুল ধরতে পারতেন না। তাই বানান ভুলের মাধ্যমে আপনি জেনে যাচ্ছেন আপনার লেখাটি কে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে কে পড়ছে না!
* আপনি যদি বানান ভুল লিখেন তাহলে যে ব্যক্তি আপনার লেখাটি পড়ছে তিনি বারবার চেষ্টা করবে আপনি ভুল শব্দটি কি লিখেছেন তা বাহির করতে। এতে করে পাঠকের চিন্তাশক্তির বিকশিত হবে। আপনি বানান ভুল করে পাঠকের উপকার করছেন। মনে করবেন আপনি একজন উপকারি ব্যক্তি।
* একটা চিরা-চরিত সত্য কথা আছে- “মানুষ মাতৃই ভুল করে”। তাই অন্যরা যখন বলবে আপনার লেখার মাঝে ভুল, তখন আপনি মনে করবেন আপনি একজন মানুষ। শুধু মাত্র হাত-পা থাকলেই মানুষ হওয়া যায় না। আপনি যেহেতু ভুল করেছেন সেহেতু আপনি মানুষ।
* আপনি সব সময় ভুল-ভাল লিখেন এটা যদি পাঠকদের একবার কষ্ট করে বুঝাতে পারেন তাহলে আপনার অনেক পরিশ্রম কমে যাবে। যেমনঃ কখনো কোন কিছু লিখতে গিয়ে বানান করতে পারছেন না অথবা বুঝতে পারছেন না বানানটা সঠিক হচ্ছে কিনা? নো টেনশন আপনার মনে যা আসবে তাই লিখে দেন। পাঠক বুঝে নিবে আপনার সঠিক শব্দটি কি হবে? কারন পাঠক জানে আপনি প্রায় সময়ই ভুল-ভাল লিখে থাকেন!
* বানান ভুল হয় এটা নিয়ে কখনো মন খারাপ করবেন না। মনে করবেন এটা একটা গুন! কয়জনের এমন গুন থাকতে পারে। এটা সবাই পারে না। আপনি সবার থেকে আলাদা। এটা আপনার ঐতিজ্য।
* বানান ভুল করলে আপনি অনেক পাঠকের দৃষ্টি এক লেখাতেই সৃষ্টি করতে পারেন। কোন মতে যদি একজন পাঠক একবার মন্তব্য করে বানান ভুল তাহলে দেখবে জাতির সব পাঠক কি ভাবে আপনার লেখার বানান ভুল ধরবার জন্য উঠে পরে লেগেছে। আর একেক জন একেক মন্তব্য করছে। এতে করে বানান ভুলের কারনে আপনার লেখাতে বেশি মন্তব্য পাবার সম্ভাবনা আছে।
* বানান ভুল শব্দ ব্যবহার করতে করতে আপনি একসময় বাংলার অভিধানে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে ফেলতে পারেন। যেমনঃ বাংলার অভিধানে বে-সম্ভব বলে কোন শব্দ নেই কিন্তু আমরা এটা অসম্ভর হিসাবে ব্যবহার করি। যেই লেখক এই শব্দটা প্রথম আবিস্কার করেন তিনিও নিশ্চয় আপনার আমার মতো বানান ভুল করতেন। তাই নিজেকে ছোট করে দেখবেন না।
* আপনি যদি প্রতিদিনই লেখালেখি করে থাকেন অনলাইনে এবং লেখার মাঝে যদি হাজার খানেক বানান ভুল থাকে তাহলে ইনশাল্লাহ খুব অল্প সময়ে আপনি যে সকল ব্লগে/ফোরামে/সাইটে লেখা দিবেন অথবা দিচ্ছেন তাতে নাম কামাতে পারবেন। এই নামেই আপনি সবার কাছে পরিচিত হয়ে যেতে পারবেন!
* এমন কি অনর্গল বানান ভুল করে পাঠকদের দাবড়ানি খাবার পরও লেখার প্রতি আগ্রহ না হারিয়ে আরো বেশি বেশি লেখা লিখবার জন্য আপনার নাম গিনেস বুকেও উঠার সম্ভাবনা আছে।
* মাঝে মাঝেই দেখবেন রাস্তায় পাচঁ দশ টাকার বই বিক্রি হচ্ছে। এই বইতেই সকল প্রশ্নের সমাধান লিখা থাকে। এই সকল বইতে আপনার নামও উঠে যেতে পারে। প্রশ্নটা থাকতে পারে এমনঃ বলুন তো কোন লেখক তার পুরো জীবনে সব লেখাতেই ভুল বানান লিখে এসেছেন? উত্তরে থাকে পারে আপনার নাম। আপনিই হতে পারেন সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি শুধু মাত্র বানান ভুলের কারনে।
* বাংলাদেশের টিভি অনুষ্ঠান টক শোতে আপনাকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রন জানানোর সম্ভাবনা আছে। কারন টক শোতে কি নিয়ে টক করবে তা তারা নিজেরাও জানে না। আপনাকে ডাকা হতে পারে- বানান ভুল পাঠকের উপর কেমন প্রভাব এর সৃষ্টি করে তা নিয়ে টক করবার জন্য।
* আপনি বানান ভুল করে যদি কোন ভাবে একবার একটি জাতির মাঝে আলোরন সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে দেখবেন মিডিয়া আপনা পিছে পিছে ঘুর ঘুর করছে।
এছাড়াও আরো ছোট খাটো অনেক উপকারিতা আছে বানান ভুলে। এ সকল উদাহরন টেনে আপনাদের মূল্যবাদ সময় নিয়ে টানাহেচড়া করতে চাচ্ছি না। তাই পরিশেষে বলতে চাই- মানুষ মাতৃই ভুল করে। তাই ভুল-ভাল লিখুন, ভুল-ভাল পড়ুন। নিজে পড়ুন-লিখুন অন্যকেও উৎসাহিত করুন। মনে রাখবেন আপনারও ভুল হয়। আপনিও মানুষ।
...................
সংগৃহিত। লেখাটি ভালো লাগলে আমাদের এ ব্লগ সাইটটিকে সেয়ার করে আপনার বনধু বান্ধবকে জানিয়ে দিন।
 

Sample text

Sample Text

hit counter tumblr

Sample Text

আমাদের এই পেইজটি শধু মাত্র আপনাদের আনন্দ প্রদানের জন্য। লেখনির সাথে কোন ঘটনা বা চরিত্র কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা রাজনৈতিক কোন বিষয়ের সাতে মিলে গেলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ দ্বায়ী থাকিবে না।